আওয়ামী লীগ একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন বাংলাদেশে কোনো রাজনৈতিক কার্যক্রম চালাতে পারবে না। আগামীর বাংলাদেশে এই খুনি ফ্যাসিস্ট দল আওয়ামী লীগকে যেখানেই দেখবে, সেখানেই ছাত্র-জনতা প্রতিহত করবে। এমন কথা বলেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে শহরের শহীদ টিটু মিলনায়তন চত্বরে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার ও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এ দাবি জানান।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক যুথি অরণ্য প্রীতি। আরও বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম সদস্য সচিব তাহসিন রিয়াজ, যুগ্ম মূখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সাকিব মাহদী এবং জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বিগত ১৭ বছরে বগুড়ায় উন্নয়ন না হওয়ায় আওয়ামী লীগকে দায়ী করে সারজিস আলম বলেন, ‘এই দল বগুড়াকে উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত করেছে। এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ছিল, সেটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বগুড়ার নাম শুনলেই চাকরি ও পদোন্নতি আটকে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বগুড়ায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বগুড়া-সিরাজগঞ্জ রেলপথ নির্মাণ এবং বগুড়া বিমানবন্দর চালুর দাবি জানান।
এদিকে পূর্বঘোষিত ওই কর্মসূচির সময় ‘বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর একাংশ সেখানে উপস্থিত হলে বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি এবং ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে এক এনসিপি কর্মীর পাঞ্জাবি ছিঁড়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ সময় সেখানে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তারা নীরব ভূমিকা পালন করেন। পরে এনসিপি কর্মীরা একজোট হয়ে বিরোধী তরুণদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেন। সারজিস আলমের বক্তব্য শেষে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একটি মিছিল সাতমাথা মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়।