ফারুক হোসেন ডন, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
ফুল ভালোবাসে না এমন লোক খুবই কমই আছে, কম বেশি ফুল ভালোবাসেন প্রায় সবাই, কেউ কিনতে, কেউ চাষ করতে, আবার কেউ সৌন্দর্য দেখতে ভালোবাসেন। এইজন্য ছুটে যাই সবাই ফুলের কাছে। আর এই ফুল যদি হয় শস্য ক্ষেতের সুন্দর হলুদ রঙের সূর্যমুখী তাহলে তো কোন কথায় নেই, কেমন এক চিত্র দেখা যায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলা পৌর এলাকায় সেখানে হাজারো ফুলপ্রেমী জড়ো হন ফুলের সৌন্দর্য দেখতে সূর্যমুখীর বাগানে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার সূর্যমুখী ফুল চাষে লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ বেড়েছে এ উপজেলায়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সূর্যমুখী চাষ করা ক্ষেতে এখন ফুলের সমারোহ। সহস্রাধিক সূর্যমুখী ফুল পূর্ণতা নিয়ে বাতাসে দোলা খাচ্ছে। সবুজ পাতার আড়ালে মুখ উচুঁ করে আছে সূর্যমুখী। সূর্যমুখীর হাঁসিতে হাসছে পুরো মাঠ। চারিদিকে সবুজের মাঝে হলুদের সমারোহ। আর এই হলুদ প্রকৃতিকে করেছে আরোও লাবন্যময়। সূর্য যেদিকে ফুলের মুখও সেদিকে। তাই এটাকে সূর্যমুখী বলে। নয়নজুড়ানো এ দৃশ্য মোহিত করছে সবাইকে। প্রতিদিন আশপাশের এলাকা থেকে সৌন্দর্য উপভোগ করতে সূর্যমুখী ফুলের বাগান দেখতে আসছেন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার দেওপাড়া গ্রামে মোঃ হাবিবুর রহমান ৫০ শতক জমিতে এবার সূর্যমুখী চাষ করছেন। তিনি প্রতিদিনের সংবাদদের প্রতিবেদককে বলেন, গত ২ বছর ধরে আমি সূর্যমুখী চাষ করছি, কৃষি অফিস থেকে বীজ, সার, কারিগরি সহযোগিতা দিয়েছেন, ভালো একটা লাভের আশা করছি। গত বছরে আমি ভালো লাভবান হয়েছি। এবার নাচোল উপজেলার মধ্যে প্রথম চাষি আমি সহ আরো অনেকই আছে আমি প্রথম হলে উপজেলা কৃষি অফিস থেকে পুরস্কৃত করবে এইজন্য ভালোভাবে চাষ করছি, বেঁচে থাকলে আগামীতেও চাষ করব ইনশাআল্লাহ।
এদিকে সূর্যমুখী চাষিরা জানান, সূর্যমুখী ফুলের বীজ থেকে তেল ও খৈল হয়। ফুলের ক্ষেতে মৌচাক বসিয়ে বাণিজ্যিকভাবে মধুও সংগ্রহ করা যায়। এছাড়া শুকিয়ে যাওয়া গাছ জ্বালানি হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। সূর্যমুখী বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যেই ফুল থেকে বীজ ঘরে তুলতে পারেন। চাষীদের মতে কম খরচে ও অতি অল্প সময়ে সূর্যমুখী ফুল চাষ করে অধিক লাভবান হওয়া যায়। এ ফসল চাষে কম খরচে বেশি লাভবান হওয়ায় অন্যান্য চাষিরাও সূর্যমুখী চাষে আগ্রীহ হয়েছেন আগামীতে নাচোল উপজেলায় সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে। নাচোল উপজেলা কৃষি অফিসার সলেহ্ আকরাম জানান, আমরা কৃষকদের প্রশিক্ষণ, কীটনাশক সহায়তা ও পরামর্শ দিচ্ছি। পরিবেশ অনুকূলে থাকলে এই বরেন্দ্র অঞ্চলে সূর্যমুখী চাষ আরও বাড়বে।সরকারি সহায়তা ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহারে সূর্যমুখী চাষ বরেন্দ্র অঞ্চলের কৃষকদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। সৌন্দর্য ও অর্থনৈতিক লাভ একসঙ্গে এনে কৃষকদের জীবনে নতুন আশার আলো যোগ করছে এই সোনালী ফুল।
তারিখ -২১-০৩-২৫ ইংরেজি
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোঃ গোলাম জাকারিয়া , নির্বাহী সম্পাদক : মোঃ আব্দুল্লাহ স্থায়ী ঠিকানা : বৈশাখী টাওয়ার, বাড়ি নং-৫৬, রোড নং-১৬ ,সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা বাংলাদেশ। লোকাল অফিসঃ বেহুলা, গোবরাতলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ।
ইমেইল : 𝐝𝐜𝐛𝐭𝐯𝟐𝟒@𝐠𝐦𝐚𝐢𝐥.𝐜𝐨𝐦 মোবাইল নম্বর : ০১৩০৩-৪৪৭০৭৭
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত