চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
বর্তমানে বাজারে বিশুদ্ধ গাভীর দুধের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী পাউডার দুধ ও পানি মিশিয়ে তা গাভীর দুধ নামে বিক্রি করছেন। এই পদ্ধতিকে কেউ কেউ চাহিদা পূরণের বিকল্প হিসেবে দেখলেও, অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ ও ভোক্তারা একে প্রতারণা বলেই মনে করছেন।
প্রক্রিয়া ও উপাদান:
দুধের গুঁড়া সাধারণত পানিতে গুলে তরল দুধ তৈরি করা হয়। তবে গাভীর দুধের স্বাদ, ঘনত্ব ও গুণগত মান অর্জনের জন্য এতে কখনো কখনো ভেজাল উপাদান মেশানো হয় — যা জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হতে পারে।
আইন ও নিরাপত্তা:
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী, ভুল তথ্য দিয়ে পণ্যের লেবেলিং বা প্রচার প্রতারণা হিসেবে গণ্য হয়। নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এমন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করেছে।
ভোক্তাদের সতর্কতা:
পাউডার দুধে কোনও সমস্যা না থাকলেও, এটি গাভীর দুধ বলে বিক্রি করা অনৈতিক ও বিভ্রান্তিকর। ভোক্তাদের সচেতন হওয়া জরুরি এবং খোলাবাজারে দুধ কেনার আগে উৎস যাচাই করাই উত্তম।
উপসংহার:
দুধের ঘাটতি পূরণে পাউডার দুধ একটি বিকল্প হতে পারে, তবে এটি কখনোই গাভীর দুধের সমতুল্য নয়। সঠিক লেবেলিং, মান নিয়ন্ত্রণ ও সরকারি নজরদারির মাধ্যমে প্রতারণামূলক কার্যক্রম রোধ করা এখন সময়ের দাবি।