বুলবুল আহমেদ বুলু, নওগাঁ )প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলায় দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পান চাষ। পান চাষে রোগবালাই তুলনামূলক কম- সেই সাথে কম খরচে লাভ বেশি হওয়ায় এখন অনেকেই এই অর্থকড়ি ফসল পান চাষে ঝুঁকেছেন। এতে একদিকে যেমন স্থানীয় যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে অপর দিকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পানচাষীরা । পানের ফলন ও দাম ভালো পাওয়ায় খুশি এই এলাকার পান চাষিরা।
নওগাঁর বদলগাছী থেকে বুলবুল আহমেদ বুলু’র পাঠানো তথ্যচিত্রে দেখুন ডেস্ক রিপোর্ট . .
শস্যভাণ্ডার খ্যাত উপজেলা বদলগাছী ,এ উপজেলায় বিভিন্ন ফসলের পাশাপাশি চাষ করা হচ্ছে পান। সম্প্রতি এই উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের পান চাষে আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় কৃষকদের ।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন ,বালুভরা ,আধাইপুর , মিঠাপুর ইউনিয়ন সহ আশপাশের এলাকায় প্রচুর পানের বরজ গড়ে উঠেছে।
এখানকার মাটি পান চাষের জন্য উপযোগী বলেই মনে স্থানীয় কৃষকরা এখন জীবিকা হিসেবে বেচে নিয়েছেন পান চাষ। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ ক্ষুদ্র নীড় গোষ্ঠীর সম্প্রদায়ের ক্ষুদ্র চাষিরা বংশ পরম্পরায় এ পেশা চালিয়ে আসছেন।
পরিবার-পরিজনের প্রধান আয়ের উৎস এখানকার পানের বরজ।
তবে তাদের পান চাষে সাফল্য দেখে এই অঞ্চলের যুবকরাও সম্প্রতি পান চাষ শুরু করেছেন ।
স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্যমতে চলতি মৌসুমে বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে ২০০জনের অধিক কৃষক ৭হেক্টর জমিতে এখন পান চাষ করছেন। যা গত বছরের তুলনায় এবার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে
এই উপজেলার পান চাষি মানিক কুমার,মুক্তার চন্দ্র, জানান , বছরের জুলাই মাসের দিকে জমি প্রস্তুত করে পান গাছের ডারা জমিতে রোপন করেন । রোপনের পর বাঁশ -সুতা- নেট ব্যবহার করা হয় ।
পান চাষে রোগবালাই অনেকটাই কম হয় -পানের ক্ষেত্রে ছত্রাক-জনিত রোগ দেখা যায় এ ক্ষেত্রে ঔষুধ প্রয়োগ করলে তা সেরে উঠে ।
লাগানোর ছয় মাসের মধ্যই পান বাজারজাত করণের জন্য উপযোগী হয়ে উঠে। এক বিঘা জমির পানের বরজে উৎপাদন খরচ হয় ১লাখ২০হাজার টাকা আর উৎপাদনের পর তা বাজারে বছরে বিক্রি হয় ১০ থেকে ১২লাখ টাকা ।
এক বার পান লাগানোর পর তা কয়েক বছর পর্যন্ত থাকে এই পান গাছ -শুধু নিয়মিত পরিচর্যা করলেই সারাবছরই এই বরজ থেকে পান পাতা সংগ্রহ করা হয় স্থানীয় ভাবে ৩২ বিরাই এক পোয়া হয় ।
স্থানীয়রা জানান,এই অঞ্চলের পানচাষীরা ঝাল-সরস -মিষ্টি সহ বাহারি পানের চাষ করে আর্থিক ভাবে যেমন লাভবান হচ্ছে অন্যদিক পান চাষ করে উপার্জিত অর্থ দিয়ে পাল্টিয়েছেন জীবন যাত্রার চিত্র।
এই এলাকার পান চাষিরা তাদের বরজ থেকে পানপাতা সংগ্রহ করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তা পাইকারি ভাবে বিক্রি করে ।
উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সাবাব ফারহান বলেন, বদলগাছী উপজেলায় বেশ কিছু এলাকায় কৃষকরা পানের চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন . . .
পান চাষিরা বলছেন সরকার যদি কৃষকদের পান চাষে সহযোগিতা করে তাহলে পান চাষিরা আরও ভালো কিছু করতে পারবে-একই সাথে পানের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলে এলকার অর্থনীতি চাংগা হবে । তাই অর্থ কড়ি এই ফসল পান উৎপাদনে কৃষি বিভাগের সার্বিক পরামর্শ ও পেলে বদলগাছীর অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখবে এই লাভজনক ফসল পান এমনটাই আশা করছেন এই অঞ্চলের পানচাষীরা ।