নিজস্ব প্রতিবেদক
টাংগাইলে গরু ডাকাতি এবং পলায়নকালে বেপরোয়া ভাবে পুলিশ কনস্টবল হত্যা মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত অজ্ঞাত আসামী কুখ্যাত ডাকাত হাসানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) রাত আনুমানিক সাড়ে ১১ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি চৌকস দল গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন রাজাবিরাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানার রাজাবিরাট এলাকার খাজামদ্দিন এর ছেলে হাসান আলী (২৫) বলে জানা যায়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল বিকাল ৪ ঘটিকায় আ. জলিল (৫৫) নামে একজন গরু ব্যবসায়ী লালমনিরহাট জেলার সদর থানাধীন বড়বাড়ী হাট হতে ৬ টি গরু ক্রয় করে বিক্রির উদ্দেশ্যে পিকআপ যোগে তার ছেলের মাধ্যমে টাঙ্গাইল এর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। রাত্রি আনুমানিক ২ টা নাগাদ টাঙ্গাইল সদর এলাকায় ৭/৮ জন ডাকাত ব্যবসায়ীর ছেলে ও ড্রাইভারকে রড, হাতুড়ী ও ছুরির ভয় দেখিয়ে তাদের পিটিয়ে বেধে রেখে ৬ টি
গরু ডাকাতি করে নীল রংয়ের পিকআপ এর উপর উঠায় এবং ব্যবসায়ীর ছেলে ও ড্রাইভারকে ঝোপের মধ্যে ফেলে ঢাকাগামী রাস্তায় পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে রাত ৩ টার দিকে যমুনা সেতু পশ্চিম টোল প্লাজা হইতে টাঙ্গাইল হতে
ডাকাতি করে গরু ভর্তি একটি পিকআপ উত্তরবঙ্গের দিকে যাচ্ছিল এমন সংবাদ যমুনা সেতু পশ্চিম থানা রেডিও বেতার এর মাধ্যমে ডিউটি তদারকি টিমকে অবগত করে। ডিউটি তদারকি টিম চেকপোষ্ট বসিয়ে গাড়িটিকে আটকানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গাড়িটিকে আটক করতে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে ডিউটি তদারকি টিম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অন্যান্য গাড়ি দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ডাকাতি হওয়া পিকআপটি গত ২৪ এপ্রিল তারিখে সরকারি কাজে বাধাদান করতঃ বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে বেড়িকেড ভেঙ্গে কর্তব্যরত কনস্টবল মো. রফিকুল ইসলাম কে স্বজোরে ধাক্কা দিয়ে মূর্মুষূ অবস্থায় ফেলে রেখে সুকৌশলে ঢাকার দিকে পালিয়ে যায়। পরে কনস্টেবল রফিকুলকে শহীদ মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সিরাজগঞ্জ এ প্রেরণ করা হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খাজা নাজিম উদ্দিন হাসপাতালে রেফার্ড করলে অবস্থার আরো অবনতি হলে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।মেডিকেলে নিয়ে যাওয়ার পরে পুলিশ কনস্টবল রফিকুল মৃত্যুবরন করেন।
উক্ত ঘটনায় পরবর্তীতে গরু ব্যবসায়ী ও ডিউটি তদারকি কর্মকর্তা বাদী হয়ে পৃথক ভাবে দুই থানায় ডাকাতি ও হত্যা
চেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলা রুজুর পর অভিযানের ভিত্তিতে র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর একটি আভিযানিক দল ঘটনার সহিত জড়িত আসামীদের গ্রেফতারের জন্য বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাতি ও হত্যা চেষ্টা মামলার তদন্তেপ্রাপ্ত অজ্ঞাত আসামী মো. হাসান আলীকে জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জ থানাধীন রাজাবিরাট এলাকায় তার শশুড়বাড়ি হতে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এবং গ্রেফতারকৃত আসামীকে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সিরাজগঞ্জ জেলার যমুনা সেতু পশ্চিম থানায় হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও র্যাব-৫ জয়পুরহাট থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।