মোঃ মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি,
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি নির্বাচন ২০২৫-২৬। দুর্নীতিমুক্ত, ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক বার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকারে সবুজ প্যানেলের পরিচিতি সভা ও ইস্তেহার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান অতিথি, বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার বলেন আইনজীবীরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। বিগত সময়ে আইনজীবীরা কখনও ভয়ভীতি দেখে দায়িত্ব এড়িয়ে যাননি। যদি নতুন কোনো স্বৈরাচার মাথাচাড়া দেয়, আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ করবে। সবুজ প্যানেল নির্বাচিত হলে বারের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান হবে এবং আইনজীবীদের কার্যক্রমে নতুন উদ্দীপনা আসবে। বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল সর্বদা পাশে থাকবে।
২৫ আগস্ট সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সবুজ প্যানেলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিসহ সবুজ প্যানেলের সকল প্রার্থী উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনী ইস্তেহারে উল্লেখযোগ্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আইনজীবীদের বেনেভোলেন্ট ফান্ডে ৩ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি করা হবে। বেনেভোলেন্ট ফান্ডের অর্ধেক টাকা আগাম পরিশোধ করা হবে। সমিতির আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি করা হবে। প্র্যাকটিসরত আইনজীবীদের স্বল্পমূল্যে স্থায়ী চেম্বার বরাদ্দ দেওয়া হবে। সমিতির সম্পদ উদ্ধার করে বহুতল ভবন নির্মাণ করা হবে। বিজ্ঞ আইনজীবীদের জন্য আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। সমিতির ভবনের সঙ্গে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের ভবনের সংযোগ সেতু তৈরি করা হবে। বার ও বেঞ্চের মধ্যে সুসম্পর্ক সৃষ্টি করে আদালত বণ্টন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের জন্য স্বাস্থ্যকর ক্যান্টিন এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করা হবে। মহিলা আইনজীবীদের জন্য একজন গাইনী বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নিয়োগ দেওয়া হবে।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিলের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ, মাওলানা মঈনউদ্দিন আহমদ, মাওলানা আবদুল জব্বার, এ.বি.এম সিরাজুল মামুন, মাওলানা মমিনুল হক সরকার, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম। আপিল বিভাগের অ্যাডভোকেট মো. আবদুল মতিন মন্ডল, মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন এবং সহকারী সেক্রেটারি জামাল হোসাইন উপস্থিত ছিলেন। সভা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট সামাদ মোল্লা এবং উপস্থাপনায় ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ আলী ইমন। ১৭ সদস্য বিশিষ্ট সবুজ প্যানেল উপস্থাপন করা হয়, এডভোকেট এ. হাফিজ মোল্লাহ সভাপতি এবং এডভোকেট মাইন উদ্দিন মিয়া সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বক্তারা বলেন ন্যায়বিচার ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। ৫৪ বছরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা যায়নি। স্বৈরাচার উৎখাত করতে ১৫ বছর লেগেছে, এখনও পুরোপুরি উচ্ছেদ হয়নি। যারা হুমকি দিয়ে বিজয় অর্জনের চেষ্টা করে তাদের হিসেব ভুল